বিসমিল্লাহির রহমানির রহিমসিরাতুন নবী (সঃ) উপলক্ষে আহবানমহান আল্লাহ বলেন,
১। ‘‘আল্লাহর রাসুল (স:) এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট আদর্শ”। (সুরা আহযাব-২১)
২। “হে নবী (স:) তুমি নীতি নৈতিকতার ও উত্তম চরিত্রের সর্বোচ্চ শিখরের উপর প্রতিষ্ঠিত”। (সুরা আল-কলম- ৪)
৩। “হে নবী আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে, আল্লাহর আদেশক্রমে তার দিকে আহবানকারী ও উজ্জল প্রদীপ রূপে প্রেরণ করেছি। আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিন জান্নাতের”। (সুরা আহযাব-৪৫-৪৭)
৪।“ তিনিই সেই সত্ত্বা, যিনি পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষাদেন”। (সুরা জুমুআ-২-৩)
৫। আল্লাহ তায়ালাই সেই সত্ত্বা যিনি তার রাসূলকে হেদায়েত, সত্যদ্বীনে হক সহ পাঠিয়েছেন। যাতে করে তিনি এ দ্বীনে হক বা সত্য জীবন বিধানকে যাবতীয় বিধানের উপর বিজয়ী করেতে পারেন”। (সুরা আল ফাতাহ-২৮)
*** উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়শা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, পূর্ণ কুরআনই হচ্ছে রাসুল (স:) এর জীবন।
প্রায় দেড়হাজার বছর আগে ৫৭০ ঈসায়ী সালে আসহাবুল ফিলের বছর ১২ই রবিউল আউয়াল এ বিশ্ববাসির জন্য রহমত স্বরূপ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব ও অনুসরণীয় আদর্শ ব্যক্তিত্ব মুহাম্মাদুর রাসুল (স:) কে আল্লাহ তায়ালা ধুলার ধরণীতে প্রেরণ করেন। তাঁর এই শুভ আগমনের মাসে পবিত্র সীরাতুন্নবী (স:) উপলক্ষে আমাদের আহবান।
- মুহাম্মাদ (স:) এর উপর পূর্ণ ঈমান আনুন।
- রাসুল (স:) এর জীবনী ব্যাপক ভাবে অধ্যায়ন করুন।
- তাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসুন, মহব্বত করুন, তার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করুন।
- সকল কাজে তাঁর প্রদর্শিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
- তাঁকে সম্মান করুন, তাঁর আহলে বায়েত, সাহাবীদেরকে মহব্বত করুন।
- তাঁর আদর্শ ও সুন্নাহ পরিত্যাগ করবেন না।
- তাঁর চেয়ে অন্য কাউকে বেশি ভালবাসবেন না।
- রাসুল (স:) এর আদর্শের বিপরীত কারো সাথে সখ্যতা বা বন্ধুত্ব গড়া থেকে বিরত থাকুন।
- রাসুল (স:) এর সাথে বেয়াদবী হয় এমন কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকুন।
- কুরআন পড়ুন, হাদিস পড়ুন। সেই অনুযায়ী জীবন গড়ুন।
- বড়দের সম্মান ও শ্রদ্ধা করুন এবং ছোটদের স্নেহ করুন।
- মাদক ও ধুমপান থেকে বিরত থাকুন। আপনার সন্তান, পরিবার ও সমাজকে মাদক ও ধুমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন।
- নিজে সময়মত সালাত আদায় করুন ও সাওম পালন করুন। পরিবারের সদস্যদেরকে সালাত আদায়ে উৎসাহিত করুন। বিনয় ও নম্রতার সাথে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্ঠির জন্য সালাত আদায় করুন।
- সালাত , সাওম ও যাকাত আদায়ের জন্য সমাজিক পরিবেশ গড়ে তুলুন।
- বেশি বেশি সাদাকাহ করুন। ইয়াতিমের সাথে সদ্ব্যবহার করুন।
- সকল প্রকার অশালীন ও মন্দ কাজ থেকে নিজে বিরত থাকুন এবং সমাজকে সুন্দর করার চেষ্টা করুন।
- সৎ কাজরে আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করুন।
- সমাজ থেকে ঘুষ ও দুর্নীতির মূলোৎপাটনে আল্লাহর কাছে জবাবদিহীতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করুন।
- সর্বো পর্যায়ে সুদ বর্জন করুন। সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের লেখক, সুদের সাক্ষ্যদাতা সকলেই জাহান্নামী।
- কুরআন বুঝুন, রাসুল (স:) এর জীবন পদ্ধতি জানুন ও মানুন। ইসলামী সমাজ গড়ুন।
মাওলানা মুহাম্মাদ আশরাফ আলী
সভাপতি
একাডেমিক কাউন্সিল
তালিমুল ইসলাম আলীম মাদরাসা
চাঁপাইন, সাভার, ঢাকা, বাংলাদেশ।
0 Comments