মায়াজাল
কাজি মুহাম্মাদ ঈসা মাহমুদ
বাছাধন তোকে ছাড়িয়া যেতে
ইচ্ছে নাহি হয়
তোর আঁখিতে তাকিয়া থাকি
বারবার দেখিতে মনে চায়।
তোরি ছবি আমার বুকে
একটি পাখির বাসা
অনেক স্বপ্ন ছিল তোকে নিয়ে
বুকেতে ছিল অনাবিল আশা।
তোকে ছাড়িয়া থাকিতে আমার
বিষণ কষ্ট লাগে
বিষাদে ভরা এই বুকে
স্বপ্ন শুধু জাগে।
তুই কি ভুলিয়া থাকিতে পারিস
তোর পিতামাতাকে
বুকের রক্ত ক্ষরণ দেখিতে কি পাস
বিধাতার দেয়া বিবেকে।
তোর আশায় পথ চেয়ে
আজও বসে থাকে মা
আয় বাছা আয়
বুড়া-বুড়িকে একটু দেখিয়া যা।
তোর স্বপ্ন পূরণে
কত রক্ত হয়ে গেল ঘাম
জীবন তো হয়ে গেল শেষ
তোকে না দেখিতে পেলাম।
বাছা তোরি চোখে
রঙিন স্বপ্নে মায়াজাল
সকালে শুরু করিস
বুঝতে পারিস না, কখন হয়েছে বিকাল।
এত কাজ এত কর্ম কিসের লাগিয়া করিস
সময় পেলে একটু চিন্তা করিয়া দেখিস।
আমিও তোর জন্য করেছি শত কর্ম
ক্ষণে ক্ষণে বিপরীত হয়েছে ধর্ম।
এখন আমি তোকে খুজিয়া বেড়াই
একদিন তুই, আমাকে খুজবি পাবিনা রেহাই।
বাছাধন আয় বুকে আয়
একটু আদর করি
তোকে বুকে নিতে
কাদিয়া কাদিয়া মরি।
তোর মায়ের চোখের জলে
কপল ভিজিয়া হয়েছে নদী
আয় ছুটে আয়
পিতামাতাকে মনে পড়ে যদি।
একদিন ফিরিয়া আসবি জানি
মনে চাবে বসতে বাবার কোলে
তখন তো আর পাবিনা সুযোগ
দেখবি বাবা শুয়ে আছে
তিন হাত মাটির তলে।
কবরের মাটি বুকে জড়ায়ে
কাদবি কত শত
যতই কাদিবি বুকের ভিতর
বাড়িয়া চলিবে ক্ষত।
না বলা কষ্ট গুলো
বলবি চিৎকার করিয়া
তোরি কান্নায় আকাশ বাতাস
শোকেতে যাবে ভরিয়া
শোনবে সবাই শোকের মাতম
বলছে মৃতের ছেলে
কতজন বুকে জড়ায়ে ধরিবে
বাবার আদর কি পেলে?
আয় বাবা আয়
একটু যতন করি
তোর মুখের হাসি দেখে
তবেই যেন মরি।
তোর পথ চাহিয়া
মায়ের মুখটি থাকে সদা মলিন
এখন আর হাসে না সে
খুশি গুলো হয়েছে বিলিন
মনে যদি পড়ে, একটু মায়ের কথা
আসিয়া দেখিয়া যেও
ভুলাইয়া দিও সকল ব্যাথা।
কাজি মুহাম্মাদ ঈসা মাহমুদ
বাছাধন তোকে ছাড়িয়া যেতে
ইচ্ছে নাহি হয়
তোর আঁখিতে তাকিয়া থাকি
বারবার দেখিতে মনে চায়।
তোরি ছবি আমার বুকে
একটি পাখির বাসা
অনেক স্বপ্ন ছিল তোকে নিয়ে
বুকেতে ছিল অনাবিল আশা।
তোকে ছাড়িয়া থাকিতে আমার
বিষণ কষ্ট লাগে
বিষাদে ভরা এই বুকে
স্বপ্ন শুধু জাগে।
তুই কি ভুলিয়া থাকিতে পারিস
তোর পিতামাতাকে
বুকের রক্ত ক্ষরণ দেখিতে কি পাস
বিধাতার দেয়া বিবেকে।
তোর আশায় পথ চেয়ে
আজও বসে থাকে মা
আয় বাছা আয়
বুড়া-বুড়িকে একটু দেখিয়া যা।
তোর স্বপ্ন পূরণে
কত রক্ত হয়ে গেল ঘাম
জীবন তো হয়ে গেল শেষ
তোকে না দেখিতে পেলাম।
বাছা তোরি চোখে
রঙিন স্বপ্নে মায়াজাল
সকালে শুরু করিস
বুঝতে পারিস না, কখন হয়েছে বিকাল।
এত কাজ এত কর্ম কিসের লাগিয়া করিস
সময় পেলে একটু চিন্তা করিয়া দেখিস।
আমিও তোর জন্য করেছি শত কর্ম
ক্ষণে ক্ষণে বিপরীত হয়েছে ধর্ম।
এখন আমি তোকে খুজিয়া বেড়াই
একদিন তুই, আমাকে খুজবি পাবিনা রেহাই।
বাছাধন আয় বুকে আয়
একটু আদর করি
তোকে বুকে নিতে
কাদিয়া কাদিয়া মরি।
তোর মায়ের চোখের জলে
কপল ভিজিয়া হয়েছে নদী
আয় ছুটে আয়
পিতামাতাকে মনে পড়ে যদি।
একদিন ফিরিয়া আসবি জানি
মনে চাবে বসতে বাবার কোলে
তখন তো আর পাবিনা সুযোগ
দেখবি বাবা শুয়ে আছে
তিন হাত মাটির তলে।
কবরের মাটি বুকে জড়ায়ে
কাদবি কত শত
যতই কাদিবি বুকের ভিতর
বাড়িয়া চলিবে ক্ষত।
না বলা কষ্ট গুলো
বলবি চিৎকার করিয়া
তোরি কান্নায় আকাশ বাতাস
শোকেতে যাবে ভরিয়া
শোনবে সবাই শোকের মাতম
বলছে মৃতের ছেলে
কতজন বুকে জড়ায়ে ধরিবে
বাবার আদর কি পেলে?
আয় বাবা আয়
একটু যতন করি
তোর মুখের হাসি দেখে
তবেই যেন মরি।
তোর পথ চাহিয়া
মায়ের মুখটি থাকে সদা মলিন
এখন আর হাসে না সে
খুশি গুলো হয়েছে বিলিন
মনে যদি পড়ে, একটু মায়ের কথা
আসিয়া দেখিয়া যেও
ভুলাইয়া দিও সকল ব্যাথা।
2 Comments
মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর একটি কবিতা, আল্লাহ আপনাকে আরো লেখার যোগ্যতা বাড়িয়ে দিন
ReplyDeleteজাজাকাল্লাহ
Delete