বিজয়ের হাসি হাসবো কবে **
কাজী মুহাম্মদ ঈসা মাহমুদ**
১৭৫৭ সাল এই উপমহাদেশ কে দখল করেছিল ইংলিশ বেনিয়ারা।
মুসলিম শাসক সিরাজুদ্দৌলার কাছ থেকে মীরজাফর,
মীরজাফর থেকে মীর কাসেম,
মীর কাসেম থেকে ইংলিশদের ক্ষমতার দখল।
ওরা সরাসরি ক্ষমতায় বসেনি।
ধাপে ধাপে ক্রমান্বয়ে দখল করেছে।
ক্রমসেই রক্তের গঙ্গা বইতে ছিল।
যেহেতু মুসলিমদের কাছ থেকেই ওরা ক্ষমতা দখল করেছিল,
তাই রক্তদানে মুসলিমরাই এগিয়ে এসেছিল সবার আগে।
হিন্দুদের মধ্য থেকে অনেকে সংগ্রামের জড়িয়ে পড়লেও,
অধিকাংশই ছিল নিজ নিজ উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর কাজে ব্যস্ত।
মুসলিমরা ছিল আন্দোলনমুখী,
আন্দোলনকে বেগবান করত
আর হাজার হাজার জীবন বিলিয়ে দিয়ে
শহীদি নজরানা পেশ করত।
ব্রিটিশরা মুসলিমদের উপর চড়াও থাকলেও,
হিন্দুদের প্রতি ছিল শীতল।
এই সুযোগে হিন্দুরা ইংলিশ কে ভালোভাবে আয়ত্ত করে,
আর মুসলিম নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে আলেম-ওলামাগণ
ইংরেজি শিক্ষা করা হারাম ঘোষণা করে।
যাহা মুসলমানদের জন্য ব্রিটিশ এর কাছে আরো জ্বালাময়ী হয়ে ওঠে।
আন্দোলন, অন্যায়, অবিচার এ সব দেখতে দেখতে পার হয়ে যায় প্রায় ২০০ বছর।
হিন্দুরা শিক্ষা-দীক্ষায় হয়ে ওঠে ইংরেজদের দোসর।
তখনো তৎকালীন মুসলিম নেতৃবৃন্দ
তথা আলেম-ওলামাগণ বিদেশি ভাষা
অর্থাৎ ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করা হারাম ঘোষণা দিয়ে যেতে থাকে।
যার ফলে মুসলিমদের কাছ থেকে ক্ষমতা পাওয়া
এই উপমহাদেশের অধিকাংশ জমি হিন্দুদের দখলে চলে যায়।
স্বাধীন হয় উপমহাদেশ ভাগ হয় দুইটি রাষ্ট্র হিসাবে।
সৃষ্টি হয় পাকিস্তান আর ভারত।
অতি চালাক বাঙালি আবেগের বশে
পাকিস্তানের সাথে যুক্ত থেকে রাষ্ট্র গঠন করে।
তবে ক্ষমতালোভী নেতৃবৃন্দ ধীরে ধীরে
নিজেদের ক্ষমতার জন্য আন্দোলনমুখী হয়ে ওঠে।
কিন্তু মাঝেমধ্যেই আবার কিছু আবেদনময়ী ইস্যুকে সামনে আসে।
যাহা ছিল জনগণের অতিপ্রয়োজনীয়।
তবুও আমরা স্বাধীন হব, এবার পাকিস্তানের কাছ থেকে।
বুঝে না বুঝে যে যেভাবেই হোক
দেশের লাখ লাখ মানুষ জড়িয়ে পড়ে
আবার মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য,
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে,
ঠিক তখনই স্বার্থান্বেষী ভারত এগিয়ে আসে আমাদের সাহায্যের জন্য।
হয়ে যায় উপকারী বিশেষ বন্ধু।
সেই থেকে বন্ধুরূপে চুষতে শুরু করে,
আজও চুষে যাচ্ছে দেশ ও জাতিকে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তি পেলাম না ভারতের চোষা থেকে।
২০০ বছর চুষে গেল ব্রিটিশ।
২৪ বছর পাকিস্তান,
আর ৫০ বছর ধরে চুষছে বন্ধু রূপে প্রতিবেশী ভারত।
আমরা স্বাধীনতাকামী ছিলাম,
স্বাধীনতাকামী আছি, স্বাধীনতার পিছু পিছু ঘুরে বেড়াচ্ছি।
স্বাধীনতার নাম পেয়েছি পাইনি স্বাধীনতা,
স্বাধীনতার পতাকা পেয়েছি,
পাইনি মুক্ত বাতাস,
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চলছে কেন দেশে হাহুতাশ?
স্বাধীনতা চাই স্বাধীনতা,
আমি স্বাধীনতা চাই প্রতিটি পদে, পথে,
কাজে-কর্মে, বাক-বাক্যে, চলনে, বলনে।
স্বাধীনতা চাই স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা যেদিন স্বাধীন ভাবে পাবো,
সেদিন হবে বিজয়ের হাসি,
স্বাধীনতা শুধু কিছু লোকের জন্য নয়,
স্বাধীনতা চাই জাতির জন্য।
স্বাধীনতা চাই সবার জন্য।
স্বাধীনতা চাই স্বাধীনতা।
0 Comments