করোনা তুমি এলে**
কাজী মুহাম্মাদ ঈসা মাহমুদ**
করো না তুমি শিখিয়ে দিলে জীবনের বাস্তবতা।
তুমি এলে, হয়তো তুমি চলেও যাবে,
এমনও হতে পারে তুমি থেকে যাবে,
এই শ্যামল পৃথিবীর অকৃতজ্ঞ মানুষের জন্য একটি রোগ হিসেবে।
তুমি অনেক ভালো মানুষের জন্য জান্নাতের বার্তা নিয়ে এলে।
আবার অনেকের জন্য নিয়ে এলে দুঃখের সুসংবাদ।
তোমার আক্রমণে কেউ জীবন হারিয়ে জান্নাতে পৌঁছবে।
কেউ ঈমান হারিয়ে পৌঁছে যাবে জাহান্নামে।
তোমার স্রষ্টা তোমাকে দিয়ে পৃথিবীর অধিবাসীকে কিছু শিক্ষা দিতে চান।
কেউ হয়তো শিক্ষা নিবে।
কেউ আবু জেহেলের মত আলো পেয়েও অহংকার ডুবে মরবে।
2020 সাল ছিল তোমার জয়জয়কার ধ্বনি।
এ বছরের 17 ই মার্চ বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ হয়ে এলে।
বন্ধ হয়ে গেল অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বন্ধ হলো শিক্ষালয়,
বন্ধ হলো লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজি রোজগারের পথ।
অনেকেই জীবন বাঁচাতে বেছে নিয়েছে নিম্ন থেকে নিম্নতর কর্মস্থান।
শিক্ষালয় বন্ধ হলেও সরকারি শিক্ষালয়ের শিক্ষকদের পোয়াবারো।
কর্মস্থানে সাপ কেঁচো আর পোকামাকড়ের বাসা হলেও নিজেরা আছেন রাজার হালে।
যত জ্বালায় জ্বলতে হলো বেসরকারি শিক্ষালয়ের শিক্ষকদের।
না পারে খাইতে, না পারে বলতে।
দেখার মত একটা আমলা কামলাও পেলাম না।
যারা শিক্ষকতা করে যুগ পার করে দিলো,
তারা আর যাই হোক অন্য কোন কাজ করতে প্রস্তুত থাকে না।
যা দিয়ে পরিবারের সকল খরচ বহন করতে পারে।
তবুও যে যার মত জীবন অতিবাহিত করলো।
বছর তো শেষ হয়ে গেল।
আর কতদিন এভাবে কাটাতে হবে?
কিছু প্রতিষ্ঠান নিজেদের অবস্থানের দাপটে অভিভাবকদের থেকে বেতন আদায় করে শিক্ষকদের বেসিক কিছু বেতন দিতে পারলেও,
অধিকাংশ শিক্ষালয় এটা করতে অক্ষম।
যদিও এসব প্রতিষ্ঠান লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষার ভার বহন করেছে।
প্রতিটি শিক্ষক নিজের অবস্থান থেকে শিক্ষার আলো জাতির মাঝে ছড়িয়েছে।
কিন্তু তাদের জন্য কারো চোখের এক ফোটা জল গড়ায়নি।
জাতি এই গ্লানি বহন করতে প্রস্তুত?
হে জাতির অভিভাবক;
এসব বোবা কান্নারত মানুষগুলোর জন্য কিছু একটা করো।
0 Comments